হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী “ধর্মীয় ভাইয়ের সাক্ষ্য দানের আহ্বান ও করণীয়” সংক্রান্ত একটি শরয়ী প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। নিম্নে এই ফতোয়াটি সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হল:
প্রশ্ন: যদি কোনো মুসলমান তার ধর্মীয় ভাইকে কোনো বিষয়ের সাক্ষী হওয়ার জন্য অনুরোধ করে, যেমন কোনো লেনদেন বা কাজ প্রত্যক্ষ করতে বা শুনতে, যাতে প্রয়োজন হলে সাক্ষ্য দিতে পারে, তাহলে তা গ্রহণ করা কি শরীয়তের দৃষ্টিতে ওয়াজিব?
জবাব: সাক্ষ্য গ্রহণ ও প্রদান করা ওয়াজিবে কেফায়া (সামষ্টিকভাবে আবশ্যিক)।
সংযোজন | জাফরি মাজহাব অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা:
সাক্ষ্য দেওয়া ওয়াজিবে কেফায়া: ইমামিয়া (জাফরি) ফিকহ অনুসারে, সাক্ষ্য দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। যদি কোনো মুসলমান ন্যায়সঙ্গত ও নির্ভরযোগ্য সাক্ষ্য দিতে সক্ষম হয় এবং তার সাক্ষ্যের প্রয়োজন হয়, তবে তা দেওয়া ওয়াজিবে কেফায়া (যদি কিছু লোক এই দায়িত্ব পালন করে, তবে অন্যদের জন্য বাধ্যবাধকতা থাকে না)।
সাক্ষীর শর্তাবলী: জাফরি মাজহাবে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সাক্ষীকে বালিগ, সুস্থ মস্তিষ্কের, ন্যায়পরায়ণ (আদিল), নির্ভরযোগ্য এবং বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।
অনুরোধ গ্রহণ করা: যদি কেউ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য যোগ্য হয় এবং তার সাক্ষ্যের মাধ্যমে কারো হক রক্ষা হতে পারে বা অন্যায় প্রতিরোধ হতে পারে, তবে তা গ্রহণ করা মুস্তাহাব (প্রশংসনীয়) এবং অনেক ক্ষেত্রে ওয়াজিবে কেফায়া ও ফরজে আইন হতে পারে।
মিথ্যা সাক্ষ্য হারাম: জাফরি ফিকহে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কবিরা গুনাহ এবং কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
- যদি সাক্ষ্য না দেওয়ার ফলে কোনো মুসলমানের অধিকার নষ্ট হয় বা জুলুম বৃদ্ধি পায়, তাহলে সাক্ষ্য দেওয়া ফরজে আইন (অবশ্য পালনীয়) হিসেবে গণ্য হতে পারে।
- ইমাম জাফর আস-সাদিক (আ.)-এর হাদিস অনুযায়ী, “সত্য সাক্ষ্য দেওয়া ঈমানের অংশ।” (ওয়াসায়েলুশ শিয়া, কিতাবুল শাহাদাত)
আপনার কমেন্ট